২৮.৯.০৮

দুই নেত্রীর এক টেবিলে বসা নিয়ে কথা :: আবুল হোসেন খোকন

দুই নেত্রীর এক টেবিলে বসা নিয়ে কথা
Ñ আবুল হোসেন খোকন

দেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে এক টেবিলে বসানোর জন্য এখন জোর তৎপরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে এই দুই নেত্রী এক টেবিলে বসলেই দেশের বিরোধাত্মক রাজনীতির অবসান ঘটতে পারে এবং দেশে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসতে পারে। এতেকরে দীর্ঘকালের অশান্তি, অস্বস্তি এবং জাতীয় হতাশা দূর হয়ে যেতে পারে। এও বলা হচ্ছে দুই নেত্রীর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যমত হওয়া দরকার। যেমন দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা, সংসদকে সকল কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে রাখা, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ বজায় রাখা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস বহাল রাখা। এখানে এই ইস্যুগুলোকে নূন্যতম হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতেই হয়। দেশের মানুষ মোখলেসুর রহমান চৌধুরীর নাম ভুলে যাননি। তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের উপদেষ্টা ছিলেন এবং কথিত এক-এগারো সৃষ্টির পর তাকে বঙ্গভবন ও ইয়াজউদ্দিনকে ছাড়তে হয়েছিল। দেশের মানুষ তার উপর নানা কারণেই ক্ষুব্ধ ছিল। তবে এই ব্যক্তিটি এখন বিদেশে অবস্থান করছেন এবং অতি সম্প্রতি আমেরিকায় অবস্থানকালে সাপ্তাহিক ঠিকানায় একটি চাঞ্চল্যকর সাক্ষাতকার দিয়েছেন। যা আরও ওয়েব মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে এই সাক্ষাতকার থেকেও দুই নেত্রীর এক টেবিলে বসা কেন প্রয়োজন তার একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। তবে এখানে যে প্রশ্নটি ওঠে তা হলো যারা আজ দুই নেত্রীকে এক টেবিলে দেখতে চাচ্ছেন তারা কারা, এবং আসলে কেনই তারা এটা চাচ্ছেন? এর ভেতরে কতোটুকু সr- উদ্দেশ্য আছে?
একটা কথা মনে রাখার হলো এখন বা এতোদিনে যারা এইসব কথা বলছেন তারা মাত্র ক’মাস আগেও ভিন্ন কথা বলেছেন। তখন বলা হয়েছিল দুই নেত্রীই যতো নষ্টের গোড়া। দুই নেত্রী দেশকে ধ্বংস করেছেন। তাই তাদেরকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করাটাই জরুরি। আর এটাই ছিল তাদের কাছে একমাত্র সমাধান। সে কারণে কথিত এক-এগারো ঠিক এই ফর্মূলা বাস্তবায়ন শুরু করেছিল, এবং এরসঙ্গে সায় মিলিয়ে যুক্ত হয়েছিল সিভিল সমাজের মাথা হিসেবে কথিত একদল চিহ্নিত মানুষ। এরা সবাই এক সুরে বলেছিলেন, ওই দুই নেত্রীকে সরিয়ে রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্র নির্মূল করতে হবে এবং ‘সৎ ও যোগ্যদের’ রাজনীতিতে আনতে হবে। এই ‘সৎ-যোগ্যদের’ ক্ষমতায় বসাতে হবে। এই আলোকে দুই নেত্রীকে মাইনাস করার পক্ষে প্রচুর লেখা-লেখি হয়েছে, প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়েছে। এর সবই হয়েছে বিশেষ আনুকূল্যে। এমনকি বিদেশিরাও এই উদ্যোগে প্রকাশ্যেই ভূমিকা রেখেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের ভাষ্যে এটাই মনে হয়েছিল যেÑ দুই নেত্রী থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যহত হবে। সুতরাং বাংলাদেশকে দুই নেত্রী মুক্ত হতে হবে, দুই নেত্রীকে যে কোন মূল্যে মাইনাস করতেই হবে।
তারপর আজ বলা হচ্ছে দুই নেত্রীই নাকি সব। তাদের এক টেবিলে বসালেই নাকি শান্তি। আর এই কথিত শান্তির জন্য দুই নেত্রী তো বটেই, তাবৎ দুর্নীতির গডফাদারদের ইতিমধ্যেই স্ব-সম্মানে কারামুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বা বাকি যারা আছে তাদেরও দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে ভোল পাল্টানোরা বলছেন হাসিনা-খালেদা এক টেবিলে বসলেই দেশের তাবৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কেও কেও এমনভাবে বলছেন যেÑ দু’জন দু’জনের দিকে তাকালেই, কিংবা একটু হাসলেই দেশময় বেহেস্তের শান্তি চলে আসবে। আর এজন্য ‘সৎ-যোগ্য’র লোকেরা এখন ঘুম হারাম করে দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসানোর জন্য প্রচার শুরু করেছেন। তারা দুই নেত্রীর উপর নানামুখী চাপ সৃষ্টির বুদ্ধিও দিচ্ছেন। প্রশ্ন হলো এইসব চাপ, প্রচার এবং তৎপরতার পেছনে সত্যিকার অর্থে কতোখানি সৎ উদ্দেশ্য আছে? বলার অপেক্ষা রাখে না যে দুই নেত্রীকে মাইনাস করার আগের বক্তব্য যে সৎ উদ্দেশ্যের ছিল নাÑ তা এখনকার বক্তব্যই বলে দিচ্ছে। সে কারণে প্রশ্ন আসছেÑ এখনকার তৎপরতাও সৎ উদ্দেশ্যর কিনা? তাছাড়া সত্যি সত্যিই দুই নেত্রীই কি সব সমস্যার সমাধান? দুই নেত্রী এক টেবিলে বসলে, একটু হাসলে, একটু একে-অপরের দিকে তাকালে সত্যিই কি দেশে মহাশান্তি নহর বইতে থাকবে? তাহলেই কি দেশের বৃহত্তর মানুষের ভাগ্য ফিরবে? বৃহত্তর মানুষের গরিবি দূর হয়ে যাবে? দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘণ্টা এবং ভয়ঙ্কর বেকারত্ব দূর হয়ে যাবে? তাহলে কি দেশের উপর বিদেশিদের খবরদারি বন্ধ হবে, দেশ বিক্রির অভিযোগ নিশ্চিহ্ন হবে, দেশের তেল-গ্যাস-প্রাকৃতিক সম্পদ-বন্দর-দেশী কল-কারখানা-উৎপাদন রক্ষা পাবে? কিংবা দুই নেত্রীর এক টেবিল থেকে যুদ্ধাপরাধীদের, রাজাকার-আলবদর-আলশামস-জামায়ত-শিবির চক্রের শাস্তি নিশ্চিত হয়ে যাবে? নাকি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলা, তার আগে-পরে দেশময় গুপ্তহত্যা-সংখ্যালঘু নির্যাতন, কিংবা তারও আগের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, অবৈধ ক্ষমতা দখল ইত্যাদির বিচার-শাস্তির সুরাহা হয়ে যাবে? পিলে চমকানো দুর্নীতির ফয়সালা কি এক-টেবিলেই হয়ে যাবে? কেমন করে? অনেকের কথা মতোÑ আর কিছু না হোক দুই নেত্রী একত্রে বসলে, একমত হলে দেশে সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ ফিরে আসবে। কথা হয়তো সত্যি। কিন্তু প্রশ্নগুলোর কি হবে?
আসলে এক-টেবিলে বসিয়ে সব অপরাধ ভুলে যাওয়ানোর এবং দেশের মানুষকেও সব অপরাধকর্ম সম্পর্কে বিচার দাবি তোলার বিষয়টি ভুলিয়ে দেবার জন্য একটা মোক্ষম উপায় বের করা হয়েছে কিনাÑ সেটাও কিন্তু প্রশ্ন হয়ে আছে। কারণ এ না হলে বিভীষণ দুর্নীতিবাজরা জেল থেকে বেরিয়ে আসে কি করে? তাদের সঙ্গে গোলটেবিল হবার কথা উঠে কেমন করে? সাধু আর অসাধু কি এক করা যায়? অন্যায় আর ন্যায় কি মিশতে পারে? পাপ আর পূণ্য কি চাল-ডালে খিচুরি হতে পারে? যদি হয় তাহলে তো কোন অপরাধেরই কোন দোষ দেওয়া যায় না, এগুলো আপনা-আপনিই বৈধ হয়ে যায়, অনুমোদন পেয়ে যায়। সে কারণেই প্রশ্ন আসছে। যুদ্ধাপরাধী, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী, স্বৈরশাসন, পিলে চমকানো দুর্নীতি, ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সব অপরাধ থেকে অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আজ কোন পন্থা কাজ করছে কিনাÑ সে প্রশ্ন উঠেছে। এক টেবিলে বসার নতুন স্লোগান তুলে জাতিকে আবারও ধোঁকা দেওয়ার, বোকা বানানোর এবং এই বোকা বানানোর মাধ্যমে ‘মহাদাগীদের রক্ষা’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে কিনাÑ এসব প্রশ্ন বারবার খোঁচা দিচ্ছে।
তবে কতগুলো বিষয়ে দুই নেত্রীর মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা হলে যে মন্দ হয় নাÑ তা বলারই অপেক্ষা রাখে না। এখানেও অবশ্য দেখার বিষয় হলোÑ দুই নেত্রী কিন্তু এক জায়গার নয়। একজন জনগণের রাজনৈতিক দল থেকে তৈরি হওয়া, আর একজন (দলসহ) ক্যান্টনমেন্ট থেকে তৈরি হওয়া। এটা কতোখানি সত্যিকার সমঝোতার জন্য ইতিবাচকÑ তা ভেবে দেখার? ইতিবাচক হলে সত্যিই মিরাকল! হ্যাঁ, দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসানোর বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় যদি কিনাÑ কতগুলো শর্ত পূরণ হয়। যেমন কোন কোন রাজনৈতিক পক্ষ বলেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় খুনীদের পক্ষ নেওয়াসহ অতীত অন্যায় কর্মকাণ্ডের জন্য বেগম জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলে শেখ হাসিনা বসতে পারেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। কিন্তু ক্ষমা চাইলেই কি ক্ষমা করা যায়? সম্ভব তা? ক্ষমা চাইলে যদি গ্রেনেড হামলাসহ বহু নারকীয় অপরাধের ক্ষমা মেলেÑ তাহলে ফল কি শুভ হবে? কিংবা যে গ্রেনেড হামলায় প্রায় ডজন দুয়েক মানুষ মারা গেছেনÑ তাদের পরিবার কি সত্যিই ক্ষমা করতে পারবেন? কিংবা যে শত শত জন গ্রেনেডের আঘাতে এখনও কাতরাচ্ছেনÑ তারা কি ক্ষমা করতে পারবেন? দেশময় এতো হত্যা, লুটপাট, দুর্নীতি এবং নির্যাতনের শিকাররা কি ক্ষমা করতে পারবেন? পারবেন কি দেশবাসীও এইসব অপরাধীকে ক্ষমা করতে? পারবেন না।
সুতরাং ক্ষমা চাওয়া বা ক্ষমা করে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ ধরণের কিছু মেনে নেওয়া যেতে পারে না। হ্যাঁ দুই নেত্রী এক টেবিলে বসতে পারেন, সমঝোতাও করতে পারেন। এজন্য উভয় উভয়কে কিছু কিছু ছাড় দিতে হবে তাও সত্যি। কিন্তু এখানে স্পষ্ট কথা হলো দুই নেত্রীকেই আন্তরিকভাবে নিজেদের ভুল স্বীকার করতে হবে তো বটেই, এবং যে যে-অপরাধ করেছেন তার শাস্তিও তাদেরকে পেতে হবে। তাদেরকে এই শাস্তি গ্রহণ করে নিতে হবে, এখানে কোন কৌশল গ্রহণ চলবে না। দুই নেত্রীর মধ্যে একজনের শাসনকাল অনেক বেশী সময়ের। আর এই বেশী সময়েই ঘটেছে অপরাধের ৯৫ ভাগ। সুতরাং এই সময়ের দুর্নীতি, হত্যা, গুম, খুন, দমন-পীড়ন-নির্যাতন, সংখ্যালঘু বিতাড়ন-হত্যা-ধর্ষণ-লুণ্ঠন-অগ্নিসংযোগ, ২১ আগস্ট ১৭ আগস্ট গ্রেনেড-বোমা হামলার মতো নানা ভয়াবহ বর্বর ঘটনার দায় স্বীকার করতে হবে। এ দায়ের জন্য ক্ষমা চাওয়া বা ক্ষমা প্রাপ্তির প্রশ্নই ওঠে না। এরজন্য শাস্তি প্রাপ্যÑ তা স্বীকার করতে হবে এবং শাস্তির রায় মাথা পেতে নিতে হবে। এছাড়া দেশের মানুষকে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ইতিহাসগতভাবে নানা কৌশলে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। এর দায়ও স্বীকার করতে হবে। এরজন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সকল অন্যায়-অবিচারের দায় কাঁধে নিতে হবে এবং শাস্তি গ্রহণ করতে হবে। এটা হলেই না আসে আত্মশুদ্ধির প্রশ্ন। আর আত্মশুদ্ধির মধ্যদিয়েই কেবল হতে পারে দুই নেত্রীর সত্যিকারের সংলাপ, সমঝোতা এবং এক্যমত। এ ছাড়া এক-টেবিল বৈঠক, আলোচনা-সমঝোতার কথায় প্রশ্ন উঠবেই। প্রশ্ন তুলবে না তারাইÑ যারা শঠ, যারা অসৎ কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছেন বা কারও উদ্দেশ্য সফল করে দিতে চাইছেন, সেইসঙ্গে যারা দেশের এবং দেশের মানুষের মঙ্গল চান না। সুতরাং এ রকম মেনে নেওয়া, চাওয়া বা উদ্দেশ্যর সঙ্গে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কোনই সায় থাকতে পারে না। তাছাড়া এ রকম সমঝোতায় এই জনগোষ্ঠীর একরত্তি লাভ নেই। লাভ থাকতে পারে না। বরং এটা হলেÑ ওই দুর্নীতিবাজ, ওই বিদেশি প্রভু-লুটেরা শক্তি, তাদের দেশীয় দালাল এবং জাতীয় আরেক শত্র“ ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদেরই লাভ। লাভ হবে অরাজনৈতিক অপশক্তির। এদেরই স্বার্থ হাসিল হবে তাহলে।
অনেকেই মনে করেন বা কোন কোন রাজনৈতিক নেতারা সুস্পষ্টভাবেই বলছেনও যেÑ দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসানোর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। কেও কেও মনে করেন, বিএনপি-জামায়াত জোটকে রক্ষা করার প্রয়োজনেই কথিত এক-এগারোর সৃষ্টি করা হয়েছিল। এটা হয়েছিল জনগণের রায় বানচাল করতে। কেননা ওই সময় সুষ্ঠু ভোট হলে এই জোটের ভয়াবহ পতনে আশঙ্কা ছিল, গণপিটুনিতে বদমাস নেতাদের ইহলোক ত্যাগ করার সম্ভাবনা ছিল। ফলে তাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। আর সে জন্যেই একটা নাটক মঞ্চায়ন করা হয়েছে। এই নাটকের মাধ্যমে জেলখানায় ঢুকিয়ে তাদের রক্ষা করে, তাদের প্রতি মানুষের করুণা বা সফ্ট কর্নার তৈরি করে অবশেষে আসল কাজটা এখন করা হচ্ছে। তাদেরকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার কৌশল হিসেবেই নাটকের শেষ অঙ্ক সফলে চেষ্টা হচ্ছে। সুতরাং এ রকম নাটকে এক নেত্রীর সায় থাকবেÑ এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অন্য নেত্রীর ব্যাপারটি আলাদা। কারণ মনে রাখার ব্যাপার হলোÑ কোন গণবিরোধী বিশেষ স্বার্থে সমঝোতা বা বৈঠক বা ঐক্যÑ এর কোনটাই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এতে করে কেবল মতলববাজদের উদ্দেশ্য হাসিলের বিষয়টিই সফল হতে পারে। তাই এক টেবিলের বিষয়টি সবদিক দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
[২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮]



আবুল হোসেন খোকন : সাংবাদিক, কলামিস্ট ও মানবাধিকার কর্মী।

কোন মন্তব্য নেই:

morou kobita